গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে করোনাভাইরাসে কারো মৃত্যু হয়নি। ফলে ভাইরাসটিতে মোট মৃত্যু সংখ্যা আগের দিনের (শনিবার) ২৯ হাজার ১২৮ জনই অপরিবর্তিত থাকল। তবে এই সময়ে নতুন করে আরও ২৯ জনের শরীরে করোনা ধরা পড়েছে। এ নিয়ে দেশে শনাক্ত রোগী বেড়ে দাঁড়াল ১৯ লাখ ৫৩ হাজার ২৩৩ জনে।
রোববার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। আগের দিন (২১ মে) দেশে এক মাস পর করোনায় একজনের মৃত্যুর খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ওইদিন করোনায় আক্রান্ত হিসেবে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন ১৬ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় তিন হাজার ৮২৪টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। তিন হাজার ৯৩৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ৭৮ শতাংশ। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৮৭ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২১৭ জন। এ নিয়ে দেশে করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হলেন ১৯ লাখ ৯৬৪ জন।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেই বছর সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছিল ৬৪ জনের।
ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় গত বছর জুন থেকে রোগীর সংখ্যা হু-হু করে বাড়তে থাকে। ২৮ জুলাই একদিনে সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ২৩০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল।
২০২১ সালের ৭ জুলাই প্রথমবারের মতো দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৫ ও ১০ আগস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যু হয়, যা মহামারির মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু। এরপর বেশকিছু দিন ২ শতাধিক মৃত্যু হয়।
এরপর গত ১৩ আগস্ট মৃত্যুর সংখ্যা ২০০ এর নিচে নামা শুরু করে। দীর্ঘদিন শতাধিক থাকার পর গত ২৮ আগস্ট মৃত্যু ১০০ এর নিচে নেমে আসে।
গত ২০ এপ্রিল করোনায় মৃত্যুর খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর পর টানা ৩০ দিন করোনায় মৃত্যুশূণ্য দিন পার করেছে বাংলাদেশ।